খণ্ডিত লাশ জবি শিক্ষার্থীর নয়, জানাল প্রশাসন
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় একটি লাগেজ থেকে এক যুবকের শরীরের তিনটি খণ্ড ও পাশ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা সেতুর নিচে সুতিয়া নদীতে পড়ে থাকা লাগেজ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৪)। নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, সৌরভ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিবিএর শিক্ষার্থী। তবে সেই মরদেহ জবি শিক্ষার্থীর নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, এ ঘটনার পর নিহত সৌরভ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল পুলিশ। তবে নিহতের বড় বোন ফারজানা আক্তার পপি জানিয়েছে, তার ভাই বর্তমানে রাজধানীর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
জানা যায়, নিহত সৌরভের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে। সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী ডাক বিভাগের কর্মচারী। তিনি সপরিবারে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করেন।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সেতুর নিচে নদীতে একটি ট্রলিব্যাগ দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ব্যাগ উদ্ধার করে মাথাবিহীন লাশের তিনটি খণ্ড পায়। খানিকটা দূরে পাওয়া যায় পলিথিনে মোড়ানো রক্তাক্ত মাথা। পাশে কাঁথা পড়ে ছিল। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় যান সৌরভের বোন ফারজানা আক্তার। তিনি জানান, প্রথমে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এ (বিইউপি) দুই সেমিস্টার পড়াশোনা করে সৌরভ। পরে সেখান থেকে এসে রাজধানীর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে আবারও ভর্তি হয় সে। সৌরভ বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলো বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন জানান, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।