রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক বদলি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে (রেজিস্ট্রার ভবন) কর্মরত এক কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক অন্য শাখায় বদলি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ৩০৯নং কক্ষে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সার্টিফিকেট শাখা এ ঘটনা ঘটেছে।
বদলি হওয়া ওই কর্মচারীর নাম মো. আমির হোসেন। তিনি সার্টিফিকেট শাখায় সিনিয়র অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহলুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাত কলেজের স্ক্রিপ্ট শাখায় বদলি করা হয়েছে।
ওই আদেশে বলা হয়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে সিনিয়র অফিস সহায়ক আমির হোসেন সার্টিফিকেট শাখা, ৩০৯ এর পরিবর্তে স্ক্রিপ্ট শাখা (৭ কলেজ) ৩৪৯ এ দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, স্ক্রিপ্ট শাখায় কর্মরত ইসমাইল হোসেন সার্টিফিকেট শাখায় দায়িত্ব পালন করবেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, দুপুরে এক বড় ভাইয়ের সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য হল ও ব্যাংকের সকল কাজ সম্পন্ন করে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ৩০৯নং কক্ষে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন তিনি। এসময় জমা নেন দায়িত্বরত কর্মচারী আমির হোসেন।
“পরে তার (কর্মচারী আমির) কাছে দুটি তথ্য জানতে চাই। কবে বা কখন আসলে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারব এবং আর্জেন্ট উত্তোলনের জন্য কী করতে পারি। এই দুটি প্রশ্নের উত্তর তিনি উচ্চস্বরে, অসৌজন্যমূলকভাবে এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্যের স্বরে কথা বলেন।”
তিনি বলেন, এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারী আমির উত্তেজিত হয়ে যান এবং আরও বেশি অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। এসময় ওই অফিসে খণ্ডকালীন চাকরিতে নিয়োজিত জগন্নাথ হলের শঞ্জু নামে এক শিক্ষার্থীও ওই কর্মচারীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অসৌজন্যমূলক করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবগত করলে তারা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে ডিউটির জায়গা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজই হলো শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়া। সেখানে কেউ তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে না। আমরা একটি মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি আদেশের মাধ্যমে তার অফিস পরিবর্তন করে দিয়েছি।
ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অসদাচরণ অগ্রহণযোগ্য। যিনি এমন কাজ করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে এই রকম আর না হয়।