ড. জিয়ার মৃত্যু অপূরনীয় ক্ষতি: ঢাবি ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের স্মরণে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইশরাত নাসিরের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রয়াত অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অপরাধ বিজ্ঞানী এবং খ্যাতিমান শিক্ষক ও গবেষক। তিনি সমাজের অপরাধ বিষয়ে ও নির্মূলে অনেক গবেষণা করেছেন। অপরাধের প্রতি সমাজের প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাঁর সুচিন্তিত বিশ্লেষণ ও মতামত বিভিন্ন সেমিনার, সভায় এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
“তাঁর অকাল মৃত্যু সকলের কাছেই ছিলো অপ্রত্যাশিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই গুণী শিক্ষক ছিলেন মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।” এই শিক্ষকের অকাল মৃত্যুতে সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সমাজ বিজ্ঞান বিশেষ করে অপরাধ বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও গবেষণায় অধ্যাপক জিয়া রহমানের অসাধারণ অবদান রয়েছে। এই গুণী শিক্ষক বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের হৃদয়ে অবস্থান করে নিয়েছিলেন।
তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতি, একাডেমিক কাউন্সিল, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজির বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে অত্যন্ত স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।