চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে অনশনে রাবির ৩৫ শিক্ষার্থী
মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ৩৫জন শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ২টা থেকে মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনে বিভাগের সামনে এ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ মে তাদের উপস্থিতির ফলাফল দেওয়া হয়। সেখানে মাস্টার্সের ১১৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫জনকে ডিসকলেজিয়েট করা হয়েছে। এদিকে, আগামী ৩ জুন পরীক্ষার ফর্মফিলাপের শেষ তারিখ। বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে কোনো উপায় না পেয়ে আজকে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
মায়ের ক্যান্সারের কারণে দীর্ঘদিন ক্লাস করতে পারেননি মানিক মিয়া। তিনি জানান, নির্বাচনের পর আমার মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে, তখন আমি আমার মায়ের কাছে ছিলাম। তখন ক্লাস করতে পারিনি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমার মা ২৫ ফেব্রুয়ারিতে মারা যান। এরপর থেকেই আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। স্যারদের সাথে কথা বললে তাঁরা আমাকে পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছেন না।
ফারহানা রিনি নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৩৫জনকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় আজকে আমরা এখানে বসেছি। আমরা বারবার ডিপার্টমেন্টে গিয়ে স্যারদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু স্যার আমাদের কোনোভাবেই অনুমতি দিচ্ছেন না। এর আগে আমাদের বিভাগের বড় ভাইদের উপস্থিতি কম থাকার পরও তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আমাদের কেন দিচ্ছে না। আমাদের উপস্থিতি তো একদম কম নয়। এখন ইয়ার সিস্টেম হওয়ার কারণে আমাদের আরো একবছর থাকতে হবে। এমনিতে করোনার কারণে আমাদের ২ বছর বেশি লাগছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলোফা আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে আলোচনা করব। সেখানে সিদ্ধান্ত নিব আসলে কী করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা থাকতেই পারে, ক্লাসে যদি ছাত্ররা উপস্থিতিই না থাকে, তাহলে শিক্ষকরা কীভাবে উপস্থিতি দেখাবে। যেসব শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে তাদের যদি শিক্ষকরা মার্কস দেয়, তাহলে যারা নিয়মিত ক্লাস করে তাদের সাথে অন্যায় করা হবে। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষকরা তাদের সুযোগ দিতে পারেন। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।