২৬ মে ২০২৪, ০০:০২

ব্যবসায়ীকে মারধর করে পৌনে দুই লাখ ছিনতাই, দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন ও ফুয়াদ  © ফাইল ফটো

এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরদিন শুক্রবার (২৪ মে) আদালত থেকে তাদের জামিন দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন শাহবাগ থানার এসআই রাজিব।

আটক দুই নেতা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ফলিত রসায়ন কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্র নাফিস ফুয়াদ। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আরেকজন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের পরিবেশ সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাঁধন। বাঁধন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এছাড়াও

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নিশান, রাসেল মিয়া এবং রাফি। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

মামলার এজহার হতে জানা যায়, মো. রুবেল নামে এক ব্যবসায়ীকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে নিশান শাহবাগে ডেকে নেন। সেখানে পৌঁছালে অভিযুক্ত সবাই মোটরসাইকেলে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের একটি জনমানবশূন্য জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে বাঁশ-লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের অ্যাপস থেকে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে অভিযুক্তরা।

এছাড়াও রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা, পরবর্তী এটিএম কার্ড থেকে টিএসসি জনতা ব্যাংকের বুথ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা এবং মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে অভিযুক্তরা খালি স্ট্যাম্পে ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি দিয়ে চাকু ধরে জোর করে তার স্বাক্ষর নিয়ে যায় এবং তার মোবাইল ফোন মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। তাদের সম্পর্কে থানা-পুলিশ কিংবা অন্য ব্যক্তির নিকট জানালে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওইদিন রাত ৮টায় তার মানিব্যাগ এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে ওই মাঠ থেকে বের করে দেয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, ব্যাপারটি আমি জানতে পেরেছি। তাদের জামিনও হয়ে গেছে। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আমরা জিরো টলারেন্স। মামলার কাগজ পেলে আমরা আমাদের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।