লাইব্রেরি শুধু সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জায়গা নয়: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  © ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, লাইব্রেরি শুধু সিভিল সার্ভিসের চাকরির প্রস্তুতির জায়গা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যের বাইরেও গবেষণাধর্মী থেকে শুরু করে অনেক কিছুরই জ্ঞান আহরণ ও চর্চার জায়গা। সেই মানসিকতার জায়গা তৈরি হতে হবে।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘যোগাযোগ উৎসব’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরা কীভাবে কর্মজীবনে সফলতা পাবে, কীভাবে তারা নিজেদের ভবিষ্যত গড়বে, কীভাবে তারা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবে- এই বিষয়ে অ্যালামনাইদের একটা গুরু দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল নেওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে উৎসাহিত করতে হবে, যোগাযোগ সক্ষমতায় উন্নত করতে হবে।

তিনি বলেন, অল্প সংখ্যক সরকারি চাকরির যে হাতছানি, সেটার দিকে শিক্ষার্থীদের যে মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে, এটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলিং হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ‘বিসিএস পড়া’ বন্ধ হচ্ছে!

শিক্ষার সঙ্গে শিল্প ও অর্থনীতির সম্পর্ক সাধনের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার থেকে বলছি, উন্নয়ন হয়েছে দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান। এডুকেশনের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোনমির মাধ্যমে আমরা এমপ্লয়মেন্টের দিকে যাব।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিত চাকরির প্রস্তুতির নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন পদক্ষেপের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

তিনি বলেছেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হবে। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না। লাইব্রেরিতেও একই প্রক্রিয়ায় চালু হচ্ছে। গ্রন্থাগারে প্রবেশে আগে থেকে তিনটি পাঞ্চ কার্ড মেশিন রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ে আরও দুটি মেশিন যোগ করা হবে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, যারা কেবল বিসিএস পড়তে যায়, তারা আগামী মাস থেকে লাইব্রেরিতেও প্রবেশ করতে পারবে না। এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দুএকজন হয়তো অ্যাকাডেমিক বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচি নির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যানজ্ঞান হওয়ার কথা।


সর্বশেষ সংবাদ