প্রত্নতাত্ত্বিক দিকনির্দেশনায় প্রাচীন ঢাকার ইতিহাস পুনর্গঠন সম্ভব
‘আজকের বাংলার সামাজিক সাংস্কৃতিক জীবনের সোনাফলা উৎস খুঁজতে গেলে মধ্যযুগের ইতিহাসচর্চা জরুরি। কিন্তু আমাদের এ সময়ের ইতিহাস গবেষকদের অধিকাংশের গবেষণা অঞ্চল ঔপনিবেশিক যুগের ভেতরেই আটকে আছে। তাই ঐতিহ্য ভাবনা হয়ে পড়েছে অস্পষ্ট। এ কারণে মধ্যযুগ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার সাথে যুক্ত হতে না হতে পারায় সাতপুরোনো ধারণা থেকেই মনে করা হচ্ছে সতেরো শতকের শুরুতে মোগলদের পূর্ববাংলা দখল ও ঢাকায় রাজধানী স্থাপনের মধ্য দিয়েই ঢাকার নাগরিক জীবনের শুরু।’
সোমবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড কর্তৃক আয়োজিত সেমিনার বক্তা ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শাহনাওয়াজ এ কথা বলেন।
এই গবেষক মনে করেন, খণ্ডিত ইতিহাস চর্চার কারণে ঢাকা নগরীর ৪০০ বছর বা রাজধানী ঢাকার ৪০০ বছরের ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এই বাস্তবতায় ইতিহাসের সত্যকে আরও একবার খুঁজে দেখার আহ্বান জানান ড. শাহনাওয়াজ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকার সীমানা এখনও সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়নি।প্রাক মুঘল ঢাকার ইতিহাস বের কীভাবে বের করা যায় সেটি খুবই জরুরি।’
বিশেষ অতিথি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, ‘১৬১০ সালের আগে আমরা ঢাকাকে খুব বেশি জানি না। গবেষক এখানে ইতিহাসের নতুন দ্বার উন্মোচন করলেন।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস।উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রাস্ট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদক যথাক্রমে ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম, বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক শামীমা রুমি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মবিন মাসুদ প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।