০৪ মে ২০২৪, ২১:২৮

এনএসআই পরিচয়ে চবি ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম, অতপর...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দীনের (৩০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাহিমা নাজনীন জ্বীম বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দেখা করতে বাধ্য করা এবং হেনস্তা করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়। 

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, প্রায় সাত মাস পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে বিবাদীর সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বর্তমানে এনএসআইতে চাকরী করেন বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকেই বিবাদীর সাথে আমার নিয়মিত কথা চলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার নিকট হইতে এক লাখ টাকা নেয়। সম্পর্ক থাকাকালীন সে আমাকে প্রায় সময়ই দেখা করার জন্য বাধ্য করতো।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে বিবাদী আমার ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ তার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতো। বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার শরীরের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণ করে তার নিকট প্রেরণের জন্য হুমকি প্রদান করতো। বিবাদীর এমন ব্যবহারে আমি অতিষ্ট হয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। 

বাদী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় বর্ণিত বিবাদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখা করার জন্য জোরাজুরি করলে আমি হল থেকে নেমে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে আসার পরে উক্ত বিবাদী আমাকে টানা হেঁছড়া করতঃ আমার বাম হাতে বাহুতে ও ঘাড়ের নিচে নখের আঁচড় দিয়ে সাধারণ জখম করে। তখন আমি বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে আমার আত্মচিৎকার শুনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে বর্ণিত বিবাদীকে আটক করে।

আটক করে তার পরিচয় সঠিকভাবে বলার জন্য বললে সে জানায় যে, সে আমার নিকট মিথ্যা সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ গ্রহণ করে এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মূলত সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করে। উক্ত বিষয়ে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবগত করি।

পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসিয়া ঘটনার বিস্তারিত শুনে বর্ণিত বিবাদীকে তাদের হেফাজতে নেয়।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।