০১ মে ২০২৪, ২২:৩৯

তীব্র গরমে নিজ হাতে শরবত বানিয়ে শিক্ষার্থীদের খাওয়ালেন ঢাবি অধ্যাপক 

অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা  © সংগৃহীত

চলমান দাবদাহের কারণে নিজ অর্থায়নে এবং নিজ হাতে শরবত বানিয়ে শিক্ষার্থীদের খাওয়ালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেও শরবত গ্রহণ করেছেন।

বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে কাঁচা আমের শরবত বিতরণ করেন এই অধ্যাপক। অধ্যাপক ড. মিহির এই হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এমন কাজের জন্য বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। এছাড়াও তিনি হলে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেওয়া, একসঙ্গে ক্যান্টিনে খেতে বসা, কর্মচারীদের জন্য বিশেষ আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশংসনীয়।

জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী কনক কান্তি দাস বলেন, ছুটির দিনে আমাদের জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল সাহা স্যার এর একটি সুন্দর উদ্যোগ। অসনীয় গরমে কিছুটা স্বস্তির জন্য স্যার নিজের পক্ষ থেকে সবার জন্য কাঁচা আমের শরবত এর ব্যবস্থা করলেন। স্যার নিজের হাতে সবাইকে শরবত বিতরণ করে তারপর নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শরবত নিয়েছেন। স্যার এর প্রতিটি কাজ প্রসংশনীয় ও শিক্ষামূলক। 

জগন্নাথ হকের এক শিক্ষার্থী বলেন, জগন্নাথ হলের শতবছরের ইতিহাসে ঘটনাটি বিরল। স্যার যেভাবে সবসময় শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখেন এবং বিপদেআপদে পাশে থাকেন বর্তমানে এমন শিক্ষক খুবই কম আছেন। স্যারকে জগন্নাথ হলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীই ভালোবাসেন। তিনি একজন মানবিক প্রভোস্ট। প্রতিটি হলে, বিভাগে এমন শিক্ষক দরকার। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা  বলেন, ছাত্রদের পাশে থাকাটাই শিক্ষকের পবিত্র দায়িত্ব। এই গরমে প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য কাঁচা আম-মরিচ-পুদিনার শরবত পরিবেশন করলাম। যাতে তারা স্বস্তি পায়, শান্তি পায়। হলের কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি নিজেই কাজ করেছি যাতে তারা মনে না করেন একজন প্রভোস্ট শুধুমাত্র অর্ডার দিয়ে চলে যান। শিক্ষার্থীরা যখন আমাকে বলল শরবত খেতে তখন আমি লাইনে দাঁড়িয়ে শরবত নিয়েছি। এটাও করেছি শেখার জন্য, শৃঙ্খলার জন্য। আর ছাত্র শিক্ষক বাবার মতোই। বাবা সন্তানের হাতে এক গ্লাস শরবত তুলে দেওয়ার মাঝে যে কি আনন্দ সেটা বুঝানো যাবে না।