সময়োপযোগী আইন প্রনয়ণ করে কঠোর বাস্তবায়ন দরকার: চবি উপাচার্য
অপ্রয়োজনীয় আইন সরিয়ে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন এবং একইসঙ্গে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আবু তাহের। সোমবার (২৯ এপ্রিল) চবি আইন অনুষদের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ এ.কে. খান ল মেমরিয়াল লেকচার আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে আমাদের অপ্রয়োজনীয় আইনসমূহ সরিয়ে নতুনভাবে আইন সংস্কারের প্রয়োজন। আইনের সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনের সঠিক প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, এ.কে. খান ল মেমোরিয়াল আমাদের চিন্তা-প্ররোচনামূলক আলোচনায় যুক্ত হওয়ার, আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শোনার এবং ধারণা বিনিময় করার সুযোগ দেয়। যা আমাদের আইনি কাঠামোর ব্যবধানগুলি শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল স্কুলের চেয়ার প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, আইন সংস্কার একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া যা আইনের প্রাসঙ্গিকতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে আইনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখে। এটি পুরানো এবং অপ্রয়োজনীয় আইনগুলিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন আইন তৈরি করে সামাজিক প্রয়োজনীয়তা মেটায়। সিভিল ল ব্যবস্থা এবং কমন ল ব্যবস্থা উভয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে আইনের সংস্কার হয়ে থাকে। সেগুলোর নিরিখে বাংলাদেশের আইনের সংস্কারের কাজ অনেকটুকু এগিয়েছে, কিন্তু আইন কমিশনের প্রতিবেদনগুলোর বাস্তবায়নের উপর আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন।
এ সময় তিনি আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশীয় প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মো. এ. এম জিয়াউদ্দীন খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রকিবা নবী।
অধ্যাপক ড. শাহীন চৌধুরী তার বক্তব্যে এ. কে. খানের জীবনী উল্লেখ করে বলেন, আবুল কাসেম খান (এ.কে.খান) ছিলেন একজন অগ্রগামী পূর্ব বাঙালি শিল্পপতি, নির্ভীক বিচারক, দূরদর্শী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী এবং তিনি এ.কে. খান ফাউন্ডেশন দাঁড় করিয়েছিলেন শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুবিধার জন্য।