চবির আবাসিক হলে মাদক বাণিজ্য, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ‘বিজয়’ এর কর্মী আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন। বুয়েটের আবরারের মতো তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এ ঘটনার বিশ্লেষণে কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। মারধরের ঘটনার পর জয়ের মাদকসেবনের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন তিনি। পাশে রাখা আছে আরো দুটি মদের বোতল।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপরই বেরিয়ে আসে মাদক বাণিজ্যের এসব তথ্য।
জয়কে মারধর করা ছাত্রলীগের ৬ কর্মী হলেন- ২০১৮-১৯ সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মিয়া (আতিশ ফয়সাল), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তনয় কান্তি সরকার, ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের রাসেল রাজ।
জয় বলেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় একাংশের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কেন এজন্যই তাকে মারধর করা হয়েছে।
তবে মারধরকারীদের দাবি- নেশা করে হলজুড়ে মাতলামি করার কারণেই তারা জয়ের উপর চড়াও হন। এদিকে মাদকের বিষয়টি জানতে চাইলে অস্বীকার করেন জয়।
দীর্ঘদিন হলের আসন বরাদ্দ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।
ঘটনার পর ৫ দিন পার হলেও এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে দ্রুত তদন্ত কমিটি হবে বলে জানান চবির উপ-উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। মারধরের থেকেও বড় একটি ইস্যু হলো মাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে মাদকের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একটি জরুরি কাজে আমাদের উপাচার্য মহোদয় বাহিরে ছিলেন আমরা আগামীকাল উপাচার্যের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে মাদকের বিষয়টা জিরো টলারেন্স হিসেবেই দেখা হবে। সত্যতা থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনার পর চবির এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আলী আরশাদ চৌধুরি জানান, ঘটনার দিন খবর পেয়ে হলের সেখানে গিয়েছিলাম। তখন ওখানে কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। তবে আমরা কিছু মদের খালি বোতল পেয়েছিলাম। আমরা ৪৪৪ নং কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছি। তবে এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।