১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

ঢাবিতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির মামলা, পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২০ মে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ থাকলেও এদিন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন  ছিল। বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন।

২০১৫ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাবির টিএসটি এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কেউ মামলা দায়ের না করায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলার তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ।

মামলার একমাস পর ১৭ মে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও থেকে আটজন শনাক্ত করা হয়। শনাক্তদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কাওরও ঘোষণা করে পুলিশ। কিন্তু তাদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায়, এই তথ্যগুলো বাকি রেখেই ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষককে পিলারে বেঁধে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

পরে শনাক্ত আসামিদের মধ্যে মো. কামাল (৩৫) গ্রেপ্তার করা হলে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ মামলাটি পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। পুনঃতদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক একমাত্র আসামি কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ধার্য করেন। তবে, ওইদিন রায় পিছিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে ফের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রাখা হয়। মামলাটিতে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র নয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার একমাত্র আসামি কামাল বর্তমানে জামিনে আছেন। হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।