শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে ‘সোচ্চার’ হয়ে বরখাস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে ‘সেচ্চার’ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষক। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগকারী শিক্ষকের নাম মো. মেহেদী হাসান। তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়মকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে পবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে পোস্টার টানানো হয়। ওই পোস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ করা হয়েছে। এ পোস্টার লাগানোর ঘটনায় শিক্ষক মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরবর্তীতে আদালতের দ্বারস্থ হন মেহেদী হাসান। আদালত তার বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে রায় দেয়। আদালতের আগের রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত গত অক্টোবরে রিভিউ আবেদনটিও নামঞ্জুর করেন এবং আগের আদেশ বহাল রাখেন। আদালতের আদেশ থাকা পরও মেহেদী হাসানের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। একজন অধ্যাপকের পোস্টার টানানোকে কেন্দ্র করে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশও মানা হচ্ছে না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সন্তোষ কুমার বসু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তদন্ত কমিটির কাজ চলমান। এ অবস্থায় ওই শিক্ষক আদালতের রেফারেন্স দিয়ে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আমি এ আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছি। উপাচার্য বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’