০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫০

মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জাবি শিক্ষার্থীর পালটা অভিযোগ

আকাশ তুহিন ও লিটন মাহমুদ  © সংগৃহীত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) লিটন মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা মিথ্যা দাবি করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আলী আক্কাস আকাশ ওরফে আকাশ তুহিন।

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি। পরে আকাশ নিজেই এই বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

লিটন মাহমুদ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে আলী আক্কাস আকাশ ওরফে আকাশ তুহিন জাবির নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে মাভাবিপ্রবি ছাত্রকে দফায় দফার মারধর

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, আকাশ ও লিটন শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে মাল্টিমিডিয়া কোর্সে ভর্তি ছিলেন। সেখানে লিটন বিভিন্ন সহিংসতার সাথে জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় হওয়ায় লিটন প্রভাব দেখাতো এবং নারী সহপাঠীদের কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন। এতে ক্লাসের নারীরা তার উপস্থিতিতে নিজেকে অনিরাপদ বোধ করতো। তার উগ্র আচরণের কারণে গত ৩১ মার্চ আকাশের সঙ্গে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। যদিও কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সেই বিষয়টি সমাধান করা হয়। তবে আকাশকে বিভিন্ন উপায়ে হেনস্তা করার জন্য সে অভিযোগ দেয়। প্রক্টরের কাছে করা লিটনের অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ বিষয়ে আলী আক্কাস আকাশ ওরফে আকাশ তুহিন বলেন, ‘লিটন মাহমুদ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলো। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধেই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, টি-শার্ট চুরি করাসহ নানা নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ আছে। আমি তার মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রক্টরের বরাবর পালটা অভিযোগ জমা দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রের সঙ্গে প্রেম-লিভ টুগেদার, অতঃপর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগ

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে লিটন মাহমুদ বলেন, ‘তারা যে অভিযোগগুলো এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ঐ কোর্সে ভর্তিকালীন সময়ে কোনো নারী শিক্ষার্থীর সাথে এরকম আচরণ করিনি। এমনকি সেদিন আমি তাকে কোনো হেনস্তাও করিনি। বরং আকাশ আমাকে সবার সামনে হেনস্তা ও মারধর করেছে। এছাড়াও আজ দুপুরে সে কয়েকজনসহ এসে আমাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়। সে বলে আমি অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে তার রাজনৈতিকভাবে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী লিটন মাহমুদকে দুই দফায় মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সেদিনই জাবি শিক্ষার্থী আকাশ তুহিনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।