ঢাবির হলে বৈশাখী ভোজের খাবার খেয়ে অসুস্থ একাধিক শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে প্রশাসন কর্তৃক দেয়া বৈশাখী ভোজের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। অসুস্থ হওয়া এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব শিক্ষার্থী হলের খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, রবিবার (৩১ মার্চ) ঢাবির প্রতিটি হলে ইফতার ও বৈশাখী ভোজ উপলক্ষ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। সে অনুযায়ী, সুর্যসেন হলেও এ খাবার বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা রাতে এ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা চলছে। ফেসবুকে খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে হল প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
ফেসবুক পোস্টে হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, খাবারে কোনো স্বাদই ছিল না। শুধুমাত্র অনেকগুলো আইটেম কিন্তু কোনোটাই তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়নি। হাইজিন মেইনটেইন করা হয়নি বলেই অনেকের পেট খারাপ হয়েছে এবং কয়েকজনকে মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।
হলের এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, খাবারে গরুর মাংস আর মুরগির মাংস একই মশলা ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া নিম্ন মানের তেল এবং মশলা ব্যবহৃত হয়েছে এবং হাইজিন মেন্টেইন করা হয়নি।
হলটির আরেক শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল রিংকু বলেন, আমি অল্প খেয়েছি তাতেই আমি ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছি। আমার রুমমেট আরও অসুস্থ।
জানতে চাইলে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা বাবুর্চি দিয়ে হলে রান্না করিয়েছি। কোনো সমস্যা থাকার কথা না। আমি নিজে তদারকি করেছি এবং টিম ম্যানেজমেন্ট দিয়ে কাজ করিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর এরকম হতে পারে কারণ হয়ত তারা খাবার বেশি নিয়ে সেহেরিতে খেয়েছে। তাছাড়া এমন হওয়ার কথা না কারণ আমরা খেয়েছি এবং আবাসিক শিক্ষকরা খেয়েছে। তাদের কারও সমস্যা হওয়ার কথা শুনিনি।