জমি দখল নিয়ে রাবি কর্মকর্তার ওপর সার্ভেয়ারের হামলা
জমি দখল ও উচ্ছেদের জন্য রাতের আঁধারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা এনামুল হক। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান অভিযুক্ত।
শনিবার (৩০ মার্চ) থানার সাব ইনস্পেক্টর মো. রেজাউল করিম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
ভুক্তভোগী এনামুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের সহকারী রেজিস্ট্রার। তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন মধ্যপাড়া মেহেরচন্ডি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে নুরুল ইসলাম খান লিটন, দিলুর ছেলে বাপ্পি, বাবলুর ছেলে রিমু। প্রধান অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম খান লিটন গোদাগাড়ি ভূমি অফিসে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত।
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতির অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন ভূক্তভোগী এনামুল হক। এসময় মেহেরচন্ডীর দীঘিরপাড়া মসজিদের সামনে তার পথরোধ করে অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি প্রদান করে। এনামুল হক প্রতিবাদ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে জখম করে তারা।
এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানে তিনি তিনদিন চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। পরে এই ঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ২০২০ সাল থেকে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছে লিটন। সে আমার জমিটুকু দখল করে আমাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মার্চ রাতে আমার ওপর হামলা করে। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এ কারণে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
ভুক্তভোগীর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আতিয়া তাবাসসুম জানান, এই ঘটনায় মানসিক ট্রমার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, গত প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে এমন সমস্যা চলছে। বিভিন্ন সময় হুমকিধামকি দেন তিনি। আমাদের বাসার আশপাশে সবসময় তার লোকজন ঘোরাঘুরি করে। এমনকি আমার বাবাকে গুণ্ডা দিয়ে মারধর করে যেন আমরা এই এলাকা ছেড়ে চলে যাই। এসব দেখে সমবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় এই বুঝি কেউ হামলা করবে।
অভিযোগ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গোদাগাড়ি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম খান লিটন জানান, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট নই।