চবির ১৯ উপাচার্যের ৪ জনই এই উপজেলার

কথাসাহিত্যিক আবুল ফজল, অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের
কথাসাহিত্যিক আবুল ফজল, অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো. আবু তাহের। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। শুধু তিনি নন, ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরুর পর থেকে আরও তিনজন ব্যক্তিত্ব উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই উপজেলা থেকেই।

ড. অধ্যাপক মো. আবু তাহের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে একই উপজেলার চার কৃতী সন্তান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।

সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুল ফজল ১৯৭৩ সাল থেকে দুই বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ১৯৮৮ সালের ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়টির অষ্টম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান একই উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের বাসিন্দা অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সাতকানিয়া উপজেলার তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফকে। তিনি ২০১১ সালের ১৫ জুন থেকে ২০১৫ সালের ১ জুন পর্যন্ত চবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ নিয়োগ পেয়েছেন সাতকানিয়ার মার্দাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। ১৮তম উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক মো. আবু তাহের কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০০৪ সালে তিনি এই বিভাগের অধ্যাপক হন।


সর্বশেষ সংবাদ