চাপে মামলা তুলে নিচ্ছে চবি প্রশাসন?
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৩ PM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৮ PM
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রাতে শাটল ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভিসি বাংলো, পরিবহণ দপ্তর, শিক্ষক ক্লাব, পুলিশ বক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় প্রশাসন বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। তবে ছাত্রলীগের চাপে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মামলা তুলে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক আদালতে এ নিয়ে এক আবেদন জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর আমরা প্রশাসনের চাপেই মামলা করেছিলাম, আবার এখন প্রশাসনের কথাতেই মামলা তুলে নিতে আবেদন করেছি। বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়টি নিয়ে আদালত রায় দিবে।
এর আগে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে দুটি দায়ের করেন।
মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ১২ জনই শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের কর্মী বলে জানা যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
ছাত্রলীগের চাপে মামলা তুলে নেওয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেটা আমি জানি না, তবে প্রশাসন যেভাবে বলে আমাদের সেভাবেই কাজ করতে হয় আপনারা এটা জানেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটায় নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী। ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটলট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহণ দফতরে থাকা অন্তত ৬৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।