১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

তালা ভেঙে রুম দখলের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের একটি রুমের তালা ভেঙে দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই হলের ৮০৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ওই কক্ষের তানজিম আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তানজিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ৮০৮ নম্বর কক্ষের বরাদ্দকৃত চার শিক্ষার্থী।

ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—ইংরেজি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের রাফি এবং ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এর ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরমান। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত দুইটার দিকে অনুরাগের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানের সাথে কয়েকজন মিলে হাতে রড নিয়ে ৮০৮ নম্বর কক্ষের তালা ভাঙতে যায়। তখন ওই কক্ষের বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীরা তালা ভাঙতে বাঁধা দিলে হলের প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে তালা ভাঙতে এসেছেন বলে জানান অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্ত রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সাথে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এসব নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে রাফি আমার উপর চড়াও হয় এবং হাতে থাকা কাচের গ্লাস ছুড়ে মারলে আমার পা কেটে যায়।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অনুরাগ বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই আমরা রুমের তালা ভেঙে ভিতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটা ভুল তথ্য ছিল। এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে, এটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে মাথা পেতে নিবো।’

তবে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রাফি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী রুম পাচ্ছিল না। তাই আমরা জানতে পারি ৮০৮ নাম্বার রুম খালি ছিল। তাই আমরা ওদের রাখার জন্য তালা ভেঙে ছিলাম। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটে নি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ঘটনার সত্যতা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো’।