১১ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা

প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নিপীড়কদের সহায়তা করার অভিযোগ এনে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের তদন্ত সাপেক্ষ পদ থেকে অপসরণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (১০ মার্চ) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবি জানিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।

গত রাতে এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মঞ্চের সংগঠক ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে অবরোধ শুরু করে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বহিষ্কারাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি ও অফিস আদেশ প্রণয়ন করতে হবে এবং ইতঃপূর্বে যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সকল অমিমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ অনিয়ম চিহ্নিত করল ইউজিসি

অবরোধে যুক্ত থাকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল, গতকাল সেটি সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেনি। উপরন্তু তারা বলেছেন প্রক্টর এবং প্রভোস্টের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ তারা পাননি। এটা হতেই পারে না কারণ আমরা নিজেরাও তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ দিয়েছি, উপস্থাপন করেছি। কিন্তু তারা যেহেতু বলেছে তথ্য প্রমাণ পায়নি এটা দুরভিসন্ধিমূলক।

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামান বলেন, আমাদের যে পাঁচটা দাবি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরের অব্যাহতি। গত পরশুদিন আমাদের মশাল মিছিল শেষে এ বিষয়ে একটা অভিযোগপত্র দিয়েছিলাম। প্রক্টর যে বেশ কিছু অপরাধের সঙ্গে জড়িত সেটাও আমরা অভিযোগপত্রে লিখেছি। যে নিপীড়নের কারণে একজন শিক্ষককে (মাহমুদুর রহমান জনি) বরখাস্ত করা হয়েছে সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দায়মুক্তি পত্র লেখানোর অভিযোগ রয়েছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। তারপরও প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।