ঢাবিতে সমন্বয়হীনতায় কাজে আসছে না সিসি ক্যামেরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসের একাধিক স্থানে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমন্বয়হীনতায় এগুলো তেমন কাজে আসছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। পর্যাপ্ত ক্যামেরার না থাকা, বিদ্যমানগুলো নষ্ট;পাশাপাশি কেন্দ্রের হাতে সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সদুত্তরও মেলেনি।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আওতায় আনতে বার বার সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কোনো বারই সেটি পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি। ফলে এ উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। ২০১২ সালে ‘ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক’ নামে সাড়ে ৫ কোটি টাকা বাজেটের একটি প্রকল্প হাতে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক কাজী মুহায়মিন উস সাকিব।
এ প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়কে সিসিটিভির আওতায় আনতে তখন প্রতিটি ভবনে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল টানানো হয়। ২০১২ সালেই ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ভিত তৈরি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সে প্রকল্পের অধীনেই বিভাগ বা হলগুলোতে সিসি ক্যমেরা চলছে। তবে কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে। সে সময় অন্তত ১০০ ভবন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার টানানো হয়েছিল।
এদিকে ২০১৬ সালে তথ্য-প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক কাজী মুহায়মিন উস সাকিবের নেতৃত্বে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাজেটের একটি পাইলট প্রকল্পে ১১৬টি ক্যামেরা লাগানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে। পরবর্তীতে উদ্যোগটি ঠিকমতো কাজে আসছে কি-না, সে বিষয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার পর ক্যামেরা লাগানো হলে পরবর্তীতে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অধীনে থাকার কথা। এ পুরো প্রকল্পটি পরিচালনার দায়িত্বে অধ্যাপক সাকিবের সঙ্গে কাজ করেছেন একই ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম।
২০১২ সালেই ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ভিত তৈরি করা হয়। এখন পর্যন্ত সে প্রকল্পের অধীনেই বিভাগ বা হলগুলোতে সিসি ক্যমেরা চলছে। তবে কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে। সে অন্তত ১০০ ভবন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার টানানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে তথ্য-প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক কাজী মুহায়মিন উস সাকিবের নেতৃত্বে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাজেটের একটি পাইলট প্রকল্পে ১১৬টি ক্যামেরা লাগানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে।
অধ্যাপক কাজী মুহায়মিন উস সাকিব বলেন, ‘আমরা দুজন মিলে প্রকল্পটি করেছিলাম। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেটিকে ভালোভাবে তদারকি করেছে কি না, সেটি দেখার দায়িত্ব আমাদের না। আইসিটি সেল এ ব্যাপারে ভালো জানার কথা। আমাদের কাজ আমরা যথাযথই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রবেশ ও বাহির পথে ক্যামেরা সেট করেছিলাম। যেহেতু সেটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প ছিল, তাই আমরা কাজ শেষে এটি বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর এ বিষয়ে আমাদের আর কোনো দায়িত্ব ছিল না।’
তবে তদারকির দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছে আইসিটি সেল। তাদের ভাষ্য, তাদের কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি। তথ্য-প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের আওতায় যে ১১৬টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল- তার লাইন, কাঠামো এবং ক্যামেরা কোনোটিই ভালো নেই। পাইলট প্রকল্পের নামই শুনেছেন। এরপর কি হয়েছে, কোথায় গিয়েছে বা ক্যামেরা কোথায়- এ ব্যাপারে আইসিটি সেল কিছুই জানে না। তাই প্রজেক্টের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবেন না বলে জানান কর্মকর্তারা।
আইসিটি সেল থেকে জানা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রকল্পের পর বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলকে ৬৮ লাখ টাকার একটি কাজ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে ৫৮টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান এর আওয়াতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮টি ক্যামেরা আছে।
এর পাশাপাশি হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অনুষদগুলোয় আলাদা আলাদা সিসি ক্যামেরা থাকলেও কেন্দ্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এর ফলে অনুষদ, হল বা বিভাগে কোনো ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীকে যেতে হয় এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তর। বিভাগ বা অনুষদে কোনো অনৈতিক ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীকে প্রথমে অনুষদের ডিন এবং পরবর্তীতে প্রক্টর বরাবর আবেদন করতে হয়। সরাসরি সিসি ফুটেজ দেখায় না অনুষদগুলো।
অনুষদগুলো সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ফুটেজ দেখতে হলে প্রক্টর বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যেতে হয় অনুষদ বা হলগুলোতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিদওয়ান আল হাসান বলেন, সিসি ক্যামেরার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অনেক সময় কোনো ঘটনার ফুটেজ পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। আমার মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকীকরণের একটা অংশ সিসিটিভি ক্যামেরার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ এবং ফুটেজ সংরক্ষণ। সেক্ষেত্রে, বিভাগ এবং কেন্দ্রের সমন্বয় থাকলে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটার তদন্ত আরও বেগবান হবে।
অনুষদ, হল বা বিভাগে কোনো ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীকে যেতে হয় এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তর। বিভাগ বা অনুষদে কোনো অনৈতিক ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীকে প্রথমে অনুষদের ডিন এবং পরবর্তীতে প্রক্টর বরাবর আবেদন করতে হয়। সরাসরি সিসি ফুটেজ দেখায় না অনুষদগুলো।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ১৯টি আবাসিক হলে ক্যামেরা আছে ৪১৪টি। এর মধ্যে ২৬টি নষ্ট। অর্থাৎ ছয় শতাংশ ক্যামেরাই অকেজো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব ক্যামেরা তদারকির জন্য কোনো বরাদ্দ দেয়নি। এতে করে পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ ও কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না। ফলে হলগুলোতে কোনো ঘটনা ঘটলেও ভুক্তভোগী অথবা প্রক্টরকে দৌঁড়াতে হয় হলের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে।
আইসিটি সেলের অধীনে থাকার ৫৮টি ক্যামেরার মধ্যে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের আশেপাশে চারটি, ভিসি চত্বর থেকে ইউল্যাব পর্যন্ত তিনটি, গিয়াসউদ্দিন কোয়ার্টারের আশেপাশে চারটি, উত্তর ফুলার রোডে দু’টি, উপাচার্যের বাংলো ও এর আশেপাশে তিনটি, কলাভবন গেটে তিনটি, টিএসসি ও রোকেয়া হলের আশেপাশে চারটি, রাজু ভাস্কর্যের পাশে একটি, রাসেল টাওয়ারের আশেপাশে চারটি, বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের পাশে একটি, শহীদ মিনারের প্রধান গেটে চারটি, ঢাকা মেডিকেলের আশেপাশে চারটি, হাইকোর্ট, কার্জন ও শহিদুল্লাহ হল গেট মিলে ৯টি রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলের বাইরের গেটে দু’টি ও ভেতরে দু’টি, মোকাররম ভবনে তিনটি, শহিদ মিনার ও জগন্নাথ হলে এরিয়ায় তিনটি এবং শহীদ মিনারের মোতাহার হোসেন ভবন গেটে দু’টি ক্যামেরা রয়েছে। একই জায়গায় একাধিক ক্যামেরা থাকলেও নেই লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সমাজকল্যান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আশেপাশে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলেও একই অবস্থা। মধুর ক্যান্টিনের আশেপাশেও কোনো ক্যামেরা নেই।
গত ১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে শিক্ষক পরিচয়ে ১১টি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে ইঞ্জিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ডিন তাদেরকে প্রক্টর বরাবর আবেদন করতে বলেন।
এ ঘটনার সিসি ফুটেজ আছে কি না জানতে চাইলে ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, তার কাছে কোনো সিসি ফুটেজ নেই। দরখাস্তগুলো তিনি আইসিটি সেলে এবং প্রক্টরকে পাঠিয়েছেন। তারা তদন্ত করবে। তবে বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে তিনি কোনো সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারেননি।
একই ঘটনায় প্রক্টর বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সিসি ক্যামেরার কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে স্থাপিত বিভাগ অথবা অনুষদের ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান।
এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাবির জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। হলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ থাকলে এমনটা হতো না বলে জানান একাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ রয়েছে, হল প্রশাসনকে চাপ দিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মুছে ফেলেন হল ছাত্রলীগের নেতারা। ফলে হলে মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে সহজে প্রমাণ মেলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানের ভাষ্য, প্রক্টোরিয়াল বডির কাছে আলাদা কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। যে ৫৮টি ক্যামেরা আছে, এটিই মূলত এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সেলের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্যামেরা। এর বাইরে হল কিংবা বিভাগ বা সকল ধরনের ক্যামেরা দেখার ক্ষমতা প্রক্টরিয়াল বডির আছে।
প্রক্টর বলেন, ‘আমার উপাচার্য স্যারের সাথে কথা হয়েছে। স্যার এ ধরনের একটা পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই করছেন, যাতে করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা যায়। সেখানে আমি স্যারকে বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গা আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই কিছু জায়গা আমরা হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এ হটস্পটের মধ্যে কোথায় সিসি ক্যামেরা আছে আর কোথায় নেই, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় হলসহ পুরো ক্যাম্পাস রয়েছে। সব কিছুকে একটা প্ল্যানিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেটাতে আমার বাজেট কত হবে। সেটা নির্ধারণ করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা। সে প্রক্রিয়াটাই এখনও চলমান।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক চিত্র একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে পর্যবেক্ষণ করা যাবে এমন প্রক্রিয়া চলমান আছে। পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আওতায় আনতে আমি ইতোমধ্যেই প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি। আমাদের আসলে লোকবল কম। ফলে যাদেরকেই দায়িত্ব দিই, তারা প্রথমে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও কাজ করে না।’
আরো পড়ুন: মৌখিক পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া হতে পারে না
তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিটি হল, বিভাগ, ইন্সটিটিউট, আবাসিক শিক্ষকদের বাসভবনসহ সব জায়গা চিঠি দিয়েছি। এতে পুরো ক্যাম্পাসে কার আন্ডারে কতগুলো ক্যামেরা আছে, তার একটি তালিকা আমি পাব। সে তালিকা অনুযায়ী একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ আমরা স্থাপন করতে পারি। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি। এটি পরিচালনা করবে আইসিটি সেল। যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঘটনা ঘটলে বিভাগ বা হলের পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে সব পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাচাই করা যায়।’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই কিছু নতুন ক্যামেরা স্থাপন করেছি। মল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে আরও ক্যামেরা স্থাপিত হবে। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা ক্যাম্পাসের অন্যান্য জায়গার (হল, অনুষদ) সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। এতে তথ্য দুই জায়গায় স্টোরেজ হবে। এক জায়গা পাওয়া না গেলে অন্য জায়গা পাওয়া যাবেই। এ প্রকল্প তরান্বিত করার প্রচেষ্টা চলছে।’