চারদিন বন্ধ থাকবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা
২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সোমবার (৪ মার্চ) থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত চারদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। রবিবার (০৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা মঙ্গলবার (৫ মার্চ) থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ‘এ’, ‘বি’, এবং ‘সি’ তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত এই ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ থেকে শুরু হবে। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভর্তিচ্ছুক ও অভিভাবকদের সীমিত আবাসন ও চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সোমবার (৪ মার্চ) থেকে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
এদিকে, গতকাল রোববার (৩ মার্চ) থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হয়েছে। দু’দফা তারিখ পরিবর্তনের পর এদিন থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হয়।
এবার রাবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৫০০টি। আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে প্রায় ৪৭টি। মোট আসন তিন হাজার ৯৮৪টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে এক হাজার ৮৭২ আসন রয়েছে। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে ৫১৫ ও ‘সি’ ইউনিটে আসন রয়েছে এক হাজার ৫৯৭টি। আসনপ্রতি বেশি আবেদন পড়েছে ‘বি’ ইউনিটে।
আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায়। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফার আবেদন পূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় দফায় ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৬ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি এবং চতুর্থ দফায় ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পান ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
‘এ’ ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে ৭৪ হাজার ৭০০টি, আসনপ্রতি আবেদন ৪০টি। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য বিভাগ) ৩৪ হাজার ৫০০টি, আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে ৬৭টি। আর ‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান বিভাগ) ৭৬ হাজার ৩০০টি, আসনপ্রতি ৪৮টি আবেদন পড়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট এবং ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এবারও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। এক ঘন্টার পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫।