দু’হাত হারানো চবির বাহারের চাকরি নেই, মা-স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবন
কনুই থেকে দুই হাত নেই বাহার উদ্দিন রায়হানের। এরপরও নিজের প্রতি বিশ্বাস ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়।
অদম্য মেধাশক্তি দিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করলেও বাহারের চাকরি মিলছিল না। পরবর্তীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় চাকরি পান তিনি। তবে চাকরির সাত মাস না পেরোতেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে।
চাকরি হারানোর পর স্ত্রী ও মাকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বাহারের। তবে তার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো কিছুই তাকে জানানো হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। গত বছরের ১৫ মে এ চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তিনি।
নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বাহার উদ্দিন ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছি। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী আমাকে চাকরি দিয়েছেন। তবে আমাকে অফিসে তেমন কোনো কাজ দেওয়া হতো না। আমি সারাদিন প্রায় বসেই থাকতাম, এভাবে বিরক্ত হচ্ছিলাম।
হঠাৎ ১ জানুয়ারি মেইল করে তাকে জানানো হয় প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়েছে, এজন্য আপনাকে চাকরিতে রাখতে পারছে না। বাহারের ভাষ্য, প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন- প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
আরো পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির অনুমতি দেওয়ার সময় এসেছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাহার বলেন, আমি যদি আগে থেকে জানতাম যে অল্প কয়েক মাসের জন্য আমাকে এখানে নেওয়া হচ্ছে, তাহলে আমি এখানে যোগদানের আগে ভেবে দেখতাম। যদিও আমি জানতাম, এটা প্রকল্পের কাজ। আমার ধারণা দুই থেকে তিন বছর আমি এখানে কাজ করার পর নিজের যোগ্যতা অর্জন করে অন্য কোথাও যোগ দিতে পারব।
হঠাৎ করে আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় স্ত্রী ও মাকে নিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না জানিয়ে বাহার বলেন, মানসিকভাবে কষ্টে যাচ্ছে দিন। অসুস্থ থাকার পরও টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমার যোগ্যতা অনুযায়ী একটা স্থায়ী চাকরি হলে আমাকে পরিবার নিয়ে চিন্তা করতে হতো না।