২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:২২

ঢাবিতে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর দেখতে চান প্রধান বিচারপতি

ফোক ফেস্ট ও শীতকালীন পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  © সংগৃহীত

নিজের জীবদ্দশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আঙিনায় ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এমন একটি জাদুঘর দেখে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম ল’য়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত ফোক ফেস্ট ও শীতকালীন পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান রয়েছে। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এটা ভাষার মাস। এই মাসে আমরা অনেক অনুষ্ঠান করে থাকি। এই অনুষ্ঠানগুলো আমরা বাংলায় করি। বাংলায় কথা বলার ওপর একটি চাপ আছে। বিশেষ করে, আমরা যারা এই আইন অঙ্গনে আছি, তাদের ওপর একটি বাড়তি চাপ আছে। উচ্চতর আদালতে কেন বাংলা ভাষা প্রচলন নেই বা বাংলা ভাষা কম কেন, সেই প্রশ্নেরও সম্মূখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই বাংলা ভাষায় রায় দেয়ারও চেষ্টা করছেন।

ওবায়দুল হাসান বলেন, একটি অনুষ্ঠানে ঢাবি ভিসিকে আমি বলেছিলাম, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে। ভাষা আন্দোলনের মিটিং হয়েছিল বর্তমান জহুরুল হক হলের পুকুর পাড় থেকে। সেই ঢাবিতে কি কোনো জাদুঘর আছে?

“আমি কিছুদিন আগে দেখে এসেছি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ওপর ভিত্তি করে পাঞ্জাবের অমৃতসরে একটি জাদুঘর করা হয়েছে। সেখানে গেলে মনে হয়, ১৯৪৭ সালে ফিরে গিয়েছি। ঠিক একইভাবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর করা হোক। যেখানে গেলে মনে হবে, আমি মনে হয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছি।”

প্রধান বিচারপতি বলেন, ভিসি তখন আমার কথা নোট নিয়েছেন এবং বলেছেন, তিনি এটা করবেন। তখন আমি বলেছি, আমারা জীবিত থাকা অবস্থায়ই যেন এটা করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।