২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২২

বসন্ত জাগ্রত, বসন্ত ঝিমানো নয়

চবিতে ফাগুন সম্ভাষণ ১৪৩০  © সংগৃহীত

আসলে বসন্ত দিয়েই বছরের শুরু হয়। জীবন নতুন করে শুরু করার ক্ষেত্রে বসন্ত সেলিব্রেট করা হয়। বসন্ত জাগ্রত, বসন্ত ঝিমানো নয়। আমাদের কাজগুলো আমরা নতুন উদ্যমে শুরু করতে পারি। এটা স্প্রিট হওয়া উচিত বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবীর।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চবি বোটানিক্যাল গার্ডেনে ‘ফাগুন সম্ভাষণ ১৪৩০’ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ ও চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।

এসময় অধ্যাপক ড. মনোয়ার কবীর আরো বলেন, শিক্ষকের কাছে ছাত্র-ছাত্রী সবসময় সুন্দর। তোমরা সেজে আসলেও সুন্দর, সেজে না আসলেও সুন্দর। শিক্ষক চাঁদের মতো আর শিক্ষার্থীরা সূর্যের মতো। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আলোয় আলোকিতবোধ করেন। আমার যুক্তিতে আসে না ভালো শিক্ষকের ছাত্ররা কীভাবে খারাপ হয়? ভালো ছাত্রের শিক্ষক অবশ্যই ভালো হতে বাধ্য। এইধরনের উৎসব মাধ্যমে আমাদের মননশীলতার চর্চা হয়, নান্দনিকতার চর্চা হয়।

শিক্ষার্থীদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, আমাদের সবকিছুই হাসিমুখে বরণ করতে হবে। কারণ, সুখ-দুঃখ, হাসিকান্না, শীত-বসন্ত জীবনেরই অংশ। তোমরা সৌভাগ্যবান বলেই এমন বসন্ত উৎসব করছো৷ আমাদের সময় এমন বসন্ত বরণের উৎসব করা হয় নাই। তোমাদের দেখে আমাদের ঈর্ষা হওয়ায়ই স্বাভাবিক। আমাদের পরিপূর্ণতার জন্য এমন প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সহমর্মিতা, ত্যাগ-উৎসর্গ ইত্যাদি শেখার জন্য এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মানবতার সেবার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার সবসময় অনুষ্ঠানে আসতে ইচ্ছা করে। অনুষ্ঠানে একটা পজিটিভ মাইন্ড কাজ করে। সাথে সাথে এই বিষয়টিও আমাকে ভাবায় এরকম পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে আমরা একটু ক্লাসে আসতে পারি না! পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়তে পারি না?  তাহলে অনেক বড় স্কলার আমরা হতে পারবো।

বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শেখ রফিকউজ্জামান অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বাসন্তী রঙা পলাশ আর কোকিলের সুমধুর গান আমাদেরকে নব উদ্যমে জেগে ওঠার বার্তা দেয়। রবী ঠাকুরের ভাষায় “বসন্ত তার গান লিখে যায় ধূলির পরে কী আদরে, তাই সে ধুলা ওঠে হেসে বারে বারে নবীন বেশে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আক্কাছ আহমদ, এ জি এম নিয়াজ উদ্দীন, বখতেয়ার উদ্দীন, ড. হাসিনা আফরোজ শান্তা, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসহাক, উম্মে হাবিবা ও শারমিলা কবির সীমা, প্রভাষক ইসমত আরা, মোহাম্মদ এরশাদুল হক ও তমা রাণী মিস্ত্রীসহ অন্যরা।

দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থীেদর অংশগ্রহণে মঞ্চায়িত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বাহারি খাবারের স্টলে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই।