২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫

হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপদে জাবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা 

জাবির ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বৃষ্টি হওয়ায় ভিজে গেছেন অনেক অভিভাবক  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে  স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে। ছয় শিফটের এ পরীক্ষা চলবে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপদে পড়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সরজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষারত অভিভাবকরা মহুয়া তলার গাছের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। তবে জায়গার সংকুলান না থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে ভিজছেন অনেকেই। এক ছাতার নিচে দু’তিনজনকে যবুথবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখে। 

এছাড়া নির্মাণাধীন নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় অতিরিক্ত মাটি থাকায় তা সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। আশ্রয় নেওয়ার মতো ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করছেন।

এ বিষয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক সালাউদ্দিন শিকদার  বলেন, আমার ছেলেক নিয়ে সকালে খুলনা থেকে এসেছি। ছেলের ‘এ’ ইউনিটে তৃতীয় শিফটে পরীক্ষা আছে। তবে এখন হঠাৎ বৃষ্টিতে আমরা বেকায়দায় পড়েছি। আশেপাশে দাঁড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় প্রায় ভিজে গিয়েছি। 

ঢাকা থেকে আসা আরেক অভিভাবক জাহানারা আক্তার বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে আজ সকালে এসেছি। অভিভাবক শিক্ষার্থীদের চাপ থাকায় কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। ফলে হঠাৎ বৃষ্টিতে এক ছাতার নিচেই মা-মেয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি।

আরো পড়ুন: ভেতরে পরীক্ষায় জাবিতে ভর্তিচ্ছুরা, বাইরে অপেক্ষায় অভিভাবক

‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী মেহেদী বলেন, আমার পরীক্ষা তৃতীয় শিফটে। বাবার সঙ্গে সকালেই এসেছি। তবে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ভিজে গেছি। এ অবস্থায় পরীক্ষাতে বসা কঠিন হয়ে যাবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, হঠাৎ এ আবহাওয়ায় আগত ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের জন্য তাবু বা ছাউনির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে তাদের বৃষ্টিতে যেন ভোগান্তি না হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম খুলে দেওয়া হয়েছে।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনুষদগুলোর সামনে দাঁড়াতে পারছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আবহাওয়ার অবস্থা বুঝে আগামী দিন থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করা হবে।