অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ভাষা ও সাহিত্যে এবার রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট কবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘একুশে পদক ২০২৪’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজন বিশিষ্ট নাগরিক এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
ড. মুহাম্মদ সামাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্বে আসার আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইনোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৯ সালে সমাজকর্ম শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ওয়াশিংটনস্থ সিএসডব্লিউই পরিচালিত ‘ক্যাথেরিন ক্যান্ডাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন’ এর ফেলো হিসেবে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মের উচ্চশিক্ষার উপর তুলনামূলক গবেষণা করেন।
কবি সামাদের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আমার দু’চোখ জলে ভরে যায়, আজ শরতের আকাশে পূর্ণিমা, চলো, তুমুল বৃষ্টিতে ভিজি, পোড়াবে চন্দন কাঠ, আমি নই ইন্দ্রজিৎ মেঘের আড়ালে, একজন রাজনৈতিক নেতার মেনিফেস্টো, প্রেমের কবিতা, কবিতাসংগ্রহ প্রভৃতি রয়েছে।
কাব্যক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এর আগে তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী সাহিত্য পুরস্কার, কবি সুকান্ত সাহিত্য পুরস্কার, কবি জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার, কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার, ত্রিভুজ সাহিত্য পুরস্কার, কবি বিষ্ণু দে পুরস্কার পেয়েছেন।
এবার একুশে পদক ২০২৪-এ ভাষা আন্দোলন বিভাগে পুরস্কারের জন্য মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার (মরণোত্তর) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া শিল্পকলা বিভাগে সংগীত ক্যাটাগরিতে জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব, নৃত্যকলা ক্যাটাগরিতে শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয় ক্যাটাগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
চিত্রকলা ক্যাটাগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটাগরিতে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষা বিভাগে প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু এ পুরস্কার পান।