শিক্ষক সমিতির কর্মকাণ্ড তাদের নিজেদের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: চবি উপাচার্য
'প্রশাসনের দুর্নীতি এবং অনিয়ম' এর সংবাদ তুলে ধরার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ভাবমূর্তি এবং আইনের শাসন' প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে কথা বললেও মূলত এসব কর্মের মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমিতি নিজেদের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলে মন্তব্য করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটায় চবি চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, সম্প্রতি প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্যান্ডেল তৈরি করে পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষক সমিতির ভাষায় 'প্রশাসনের দুর্নীতি এবং অনিয়ম' এর সংবাদ তুলে ধরার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ভাবমূর্তি এবং আইনের শাসন' প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে কথা বললেও মূলত এসব কর্মের মধ্য দিয়ে তারাই প্রকারান্তরে নিজেদের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে এ নিয়ে তাদের মুখোমুখি হতে চায়নি, বরং তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য বারংবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হননি, যার মধ্য দিয়ে এটা বোঝা যায় যে তারা এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারের কাছে প্রশাসনের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি এটা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, আমরা শিক্ষকদের স্বার্থে যেকোনো সমস্যা সমাধান এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নিতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষক সমিতি-র কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৩ ইতঃপূর্বে প্রশাসনের কাছে ২৬ দফা সম্বলিত দাবিনামা পেশ করেছিল, যার অনেকগুলো ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অবশিষ্ট যৌক্তিক দাবিগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন
রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি। পরবর্তীতে ভিসির বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেছে অভিযোগ তুলে লাগাতার আন্দোলন করছে চবি শিক্ষক সমিতি। প্রথমে নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে রুপ নেয় এ আন্দোলন। যা এখনো চলমান।