১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৪

৫ ঘণ্টা পর থেমেছে চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, হলে হলে চলছে তল্লাশি

চবির হলে হলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ অভিযান চলছে  © সংগৃহীত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ মধ্যে চলা সংঘর্ষ ৫ ঘণ্টা পর থেমেছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রচেষ্টা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরপর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তল্লাশি শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সংঘর্ষ থামার পর পুলিশের সহায়তায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা হলে তল্লাশি শুরু করেছে। এসময় হল থেকে কিছু ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, বাঁশ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে এদিন বিকাল ৪টায় শাহ আমানত হলের সামনের রাস্তায় সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  সিক্সটি নাইনের নেতা কর্মীরা শাহজালাল ও সিএফসির নেতারা শাহ আমানত হলের সামনে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় দুই গ্রুপের অনুসারীদের নেতাকর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র হাতে দেখা যায়।

এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশের সহায়তা নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে নবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে উভয়পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরপরেই এই অপর একটি অংশ এসে যোগ দিলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাত আটটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল বডির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হই।’

প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, শুরু থেকেই আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এতটাই অসহনশীল যে তারা আমাদের কোনো কথাই শুনতে চায় না। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঘটনা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডি শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালাচ্ছে।