যৌন হয়রানির অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে ঢাবি অধ্যাপক নাদির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কর্তৃপক্ষ জানায়, সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নিমিত্তে অধ্যাপক নাদিরকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
দুপুরে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল মনসুরের কাছে রেজিস্ট্রার দফতর থেকে আসা চিঠিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠনসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সেই শিক্ষকসহ বিভাগটির বাকি শ্রেণীকক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটা দিকে বিভাগটির চলমান সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বেলা ১১টায় বিভাগের বারান্দায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ১৩ থেকে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুরে অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকের রুমসহ বাকি শ্রেণীকক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর মধ্যে, ‘নাদির তোমার ভয় নাই, স্ক্রিনশট ছাড়ি নাই’, ‘শিক্ষা নিপীড়ন, একসাথে চলে না’, ‘জিরো ফিট দূরত্ব, নাদিরের চরিত্র’, ‘দড়ি ধরে মারো টান, নাদির হবে খান খান’, ‘ও ক্যাপ্টেন মাই ক্যাপ্টেন, শেইম শেইম, শেইম শেইম’, ‘সানগ্লাসের আড়ালে, শিক্ষকতা হারালে’ ইত্যাদি।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আজরা হুমায়রা বলেন, আজকে আমরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। অভিযোগের বিষয়ে ক্লাস বর্জন করে ক্লাসরুমে তালা ঝুলানো ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।