ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে বৈঠকে জাবি প্রক্টর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের অবাঞ্ছিত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন ও সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের সাথে গোপনে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের প্রক্টর অফিসে তারা এ বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গোপন বৈঠকের বিষয়টি জানতে পেরে হাবিবুর রহমান লিটনের বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা প্রক্টর অফিস ঘেরাও করেন। বৈঠক থেকে হাবিবুর রহমান লিটন বেরিয়ে যাবার সময় বিক্ষুব্ধ অনুসারীদের লিটনকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সার্বিক বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায় নি তাকে। তবে সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমাদের গোপন বৈঠক ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ছবি মুছে দেওয়ার বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রক্টর স্যারের সাথে আমরা দেখা করতে গেছিলাম।
অছাত্রদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের যারা অছাত্র তারা বেশিরভাগই রুম ছেড়ে দিয়েছে, বাকিরাও ছেড়ে দিবে। আমি নিজেও রুম ছেড়ে দিচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সহযোগিতা চাওয়ার জন্য তাদের ডেকেছিলাম। যেহেতু কেন্দ্র থেকে সেক্রেটারিকে বহাল রাখা হয়েছে তাই সেক্রেটারিকেও আমরা ডেকেছিলাম।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প অফিস ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি উন্নয়ন প্রকল্পের ৮০ কোটি টাকা ছাড় হবে। সে পর্যন্ত জাবি ছাত্রলীগের কমিটি টিকিয়ে রাখা ও আন্দোলন স্থবির করার কর্মকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক করা হয়েছে। প্রাপ্ত টাকা কিভাবে ভাগ হবে তাও আলোচনা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি হাবিবুর রহমান লিটনের প্রায় তিন শতাধিক অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।