প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের হতে মানসম্মত গবেষণা থাকতে হয়: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের হতে হলে তার মানসম্মত গবেষণা ও প্রকাশনা থাকতে হয়। গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবনের মধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্যার্টআপ গড়ে উঠে। মানসম্মত স্ট্যার্টআপ গড়ে ওঠার ফলে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদার হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটগুলোর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা’ আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আই.বি.এ) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন। উদ্বোধন শেষে উপাচার্যসহ অন্য অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং মেলা আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. তামান্না হাওলাদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. মোমেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরো পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থী বেড়েছে ১০ শতাংশ
সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ও উদ্ভাবনমূলক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গবেষকদের নামেমাত্র গবেষণা না করে দেশ ও জাতির টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকরি অবদান রাখতে গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, যে রিসার্চকে প্রোডাক্টে রূপান্তর করা যায় সেটিকেই উদ্ভাবন বলা হয়, যার দ্বারা সাংস্কৃতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামাজিক চাহিদা নিরূপণ, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের ক্ষেত্রে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।