চবিতে পর্দা উঠল প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার উদ্যোগে অষ্টমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২৪। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এই প্রতীকী সম্মেলনের পর্দা উঠে, যা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিতর্ক, কূটনীতি, এবং আলোচনায় অংশ নিবে দেশ-বিদেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য হল “সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সুনীল অর্থনীতির প্রসারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি।”
সম্মেলনে জাতিসংঘের ১০টি কমিটিতে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের আলোকে আলেচনায় অংশ নিবে। কমিটিগুলোর মধ্যে আছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ ও বিস্তাররোধ বিষয়ক পরিষদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা, পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক সংস্থা, আর্কটিক কাউন্সিল, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে এই সম্মেলনে। এছাড়াও অংশগ্রহণ করছেন ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, এবং সিয়েরা লিওনসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে,সহকারী প্রক্টর জনাব সৌরভ সাহা জয়, জনাব নাজেমুল আলম মুরাদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক জনাব এ.বি. এম আবু নোমান, মেরিন সায়েন্সস বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো শাহনেওয়াজ চৌধুরী, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ইউনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়'র অধ্যাপক ড. কৃতি সরকার।
অধ্যাপক বেনু কুমার দে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করা আমদের সকলের দায়িত্ব। আমি আশা করি আগামী চারদিন আপনারা আলোচনার মাধ্যমে এই সম্পদ রক্ষা করার নীতিগুলো নির্ধারণ করে আনতে পারবেন।
মেরিন সায়েন্সস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, সমুদ্র একটি যৌথ সম্পদ, যা একটি দেশের
একার পক্ষে রক্ষা করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক সহযোগিতা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র রক্ষায় অবদানের কথা উল্লেখ করে মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রতীকী সম্মেলন করছে এটা দেখে ভালো লেগেছে। আমরাও ২০১০ সালে এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে তাই তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সের গবেষণাগার তৈরির জন্য কক্সবাজারে জায়গায় বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সেখানে আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্র বিষয়ক গবেষণাগার তৈরি করবো। দেশের অর্থনীতির উন্নতির পাশে সামাজিক সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল জিদান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সংগঠন এর আয়োজনে আমরা অষ্টমবারের মতো সম্মেলন আয়োজন করছি। সেক্রেটারিয়েটের সদস্যবৃন্দ একটি সফল সম্মেলন করার জন্য অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের জন্য চারদিন জুড়ে সহায়তা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।