বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
বিএসএফ কর্তৃক ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়াসহ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি ক্রমাগত আঘাত হানার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
'ভারতের আগ্রাসন, রুখে দিবে জনগণ' 'সীমান্ত হত্যা বন্ধ কর, বন্ধ কর,করতে হবে' 'আমার ভাই বন্দী কেন, ভারতের কারাগারে' এই স্লোগান দিতে দিতে তারা রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, গত ৫ই ফেব্রুয়ারি ভারতের ঐ কুখ্যাত বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের ২৩ জন সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ভারত বলেই কি এমন গড়িমসি?
বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, এখানে কারো প্রভুত্ব চলতে পারে না। গত মাসে বিজিবির এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ বাহিনী। ভারতের সাথে আরো বেশ কিছু দেশের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে তো আমরা কোন গুলির শব্দ শুনতে পাই না। তাহলে প্রতিনিয়ত কেন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে আমার ভাই মারা যায় আমার বোন মারা যায়? এই প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জবাব ভারত সরকারকে দিতে হবে।
একই সাথে, সাম্প্রতিক সময়ে টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের জিআই পণ্য দাবি, বেনাপোলে টার্মিনাল নির্মাণের বাঁধা, বন্যার সময় তিস্তা নদীর গজলডোবা বাদ খুলে দেয়া প্রভৃতি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান এ শিক্ষার্থী।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ভারত সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সাথে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে। অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের নিরবতা। এর দায় শুধু সরকারের নয়, এ দায় আমাদেরও৷ সম্প্রতি সীমান্তে বিজিবি সদস্য রইসুদ্দিনের হত্যার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা আখ্যা দেয়া হয়েছে। এই তথাকথিত বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।