জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় ১৮ নাগরিকের উদ্বেগ প্রকাশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শনিবার স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশে ১৮ নাগরিক। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় হতবাক ও ক্ষুব্ধ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও এমন আরও ঘটনা ঘটেছে। কোনো ধর্ষণের ঘটনায় কোনো রকম তদন্ত বা সুরাহা করেনি কর্তৃপক্ষ। বিশাল এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা আনার কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেয়নি। এই সুযোগে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ছাত্র এই ধরণের অমানবিক ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ‘এই ধর্ষক ছাত্রদের যে কথিত রাজনৈতিক পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তা আমাদের শঙ্কিত করে তুলেছে। আজকের যে ছাত্র সে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্ত হবে। সেই ছাত্রদের যদি এই নৈতিক অধঃপতন হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা সরকারের কাছে এ জঘন্য অপরাধের দ্রুত তদন্ত ও বিচার চাই। সেইসঙ্গে জাবি কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা ও শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি বাংলাদেশের কোথাও আর কোনো নারীকে ধর্ষণ করা হবে না।
বিবৃতিতে সই করেছেন— হাসান ইমাম, অনুপম সেন, সারওয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, আবেদ খান, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, কেরামত মওলা, মিলনকান্তি দে, লাকী ইনাম, সারা যাকের. শিমূল ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ এবং আহকামউল্লাহ।