জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এত অধঃপতন কেন? প্রশ্ন চুন্নুর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা, এত অধঃপতন কেন হলো—এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা, এত অধঃপতন কেন হল?
তিনি বলেন, নানা কারণে সঠিক সময়ে এ ধরনের ঘটনার বিচার হয় না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কি শিক্ষার পরিবেশ ভালো নয়? বিষয়টি দেখার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর প্রতি অনুরোধ জানান।
এর আগে, গত শনিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, তার পরিচিত মামুনুর রশীদ মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে।
পরে ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনকে আসামি করে ঘটনার রাতেই আশুলিয়া থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইনে মামলা করেন। রোববার ভোরের দিকে মামলার প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তিন দিন রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সংসদে চুন্নু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে যথাসময়ে কঠোর উদ্যোগ নিয়ে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন।
এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুন (৪৫) এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ।