কর্মচারীদের ইউনিফর্ম পরিধানের আদেশ রাবি প্রশাসনের
পোশাকের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ভাতা পেলেও নিজেদের অনাগ্রহ এবং প্রশাসনিক তদারকির অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরতেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মচারী। এ নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি ‘ভাতা পেলেও ইউনিফর্ম পরেন না রাবি কর্মচারীরা’ শিরোনামে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
কর্মচারীদের নির্ধারিত পোশাক পরিধানের বিষয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম। আলোচনা শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্ধারিত পোশাক পরিধান করার জন্য কর্মচারীদের প্রতি আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সভায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহ থেকে পোশাক ভাতাপ্রাপ্ত কর্মচারীগণ সকলেই নির্ধারিত পোশাক পরে কর্মদিবসে অফিসে আসবেন, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে সকল দপ্তর ও শাখা প্রধানকে পত্র দ্বারা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীগণকে পোশাক পরিধান করার বাধ্যবাধকতার বিষয়ে অবহিত করা হবে। প্রশাসন ভবনসমূহের দপ্তর ও শাখাগুলো থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহণ টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতিগুলো তাদের নিজ নিজ সদস্যদের দাপ্তরিক পোশাক পরিধান করার বাধ্যবাধকতার বিষয়ে অবহিত ও উৎসাহিত করবেন।
উপ-রেজিস্ট্রার (প্র.) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর মোট পদ আছে ১৯০৯টি। নিয়োগ না থাকায় ৭৫২টি পদ শূন্য আছে। গত ৩০শে জুন পর্যন্ত এই দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী মোট কর্মচারী আছেন ১১৫৭ জন। ৪র্থ শ্রেণিতে কর্মরত এই সকল কর্মচারী, ৪র্থ শ্রেণি থেকে ৩য় শ্রেণিতে পদোন্নতি পাওয়া ২৫০-৩০০ জন কর্মচারী এবং টেকনিক্যাল পদের কর্মচারীরা দুই সেট পোশাকের জন্য বাৎসরিক তিন হাজার টাকা এবং ৩ বছরে ১ বার শীতকালীন পোশাকের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। তবে সরাসরি ৩য় শ্রেণিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা এই ভাতা পান না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, পোশাকের জন্য কর্মচারীদের যে অর্থ দেওয়া হয় তা সেই কাজেই ব্যয় করা উচিত। বহুদিন ধরেই ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ইউনিফর্মের বিষয়টাতে শিথিলতা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানের প্রতি সবারই শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দর করতে গেলে সুনির্দিষ্ট ড্রেস পরে নিজের কাজ করে ফেলা উচিত। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সুন্দর করা যায়। এ বিষয়ে কর্মচারীদের উৎসাহিত করা উচিত।