০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে ফের আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে চবি শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

ছাত্রী যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন রসায়ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবক তারা যদি আমাদের সঙ্গে এরকম খারাপ আচরণ করেন তাহলে এটা লজ্জাজনক। আমরা বলতে চাই, শুধুমাত্র আমাদের বান্ধবী না, এর আগেও অনেক শিক্ষার্থী এই শিক্ষকের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো মেনে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, কমিটির সদস্যরা এটা নিয়ে কাজ করছে। এমনকি শুক্রবার ও শনিবার শহরে চারুকলায় বসে দিনরাত মিটিং করেছে। আজ রোববারও তারা রসায়ন বিভাগে গেছে। তবে তদন্তের বিষয়টি বলতে চাই না। আমরা চাই অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।

আরও পড়ুন: থানায় আত্মসমর্পণ করলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত জাবি ছাত্রলীগ নেতা

এর আগে, গত বৃহস্পতিবারও (১ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কারসহ শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল মতিনকে বিরুদ্ধে গত বুধবার উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। অভিযোগে বলা হয়, থিসিস চলাকালীন সুপারভাইজার (অধ্যাপক) কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। ল্যাবে একা কাজ করার সময় এবং কেমিকেল দেয়ার বাহানায় নিজ কক্ষে ডেকে দরজা আটকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন অধ্যাপক।

এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করার পাশাপাশি ওই শিক্ষককে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় চবি প্রশাসন।