সিট বাণিজ্যের অডিও ফাঁস, রাবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহিদ শামসুজ্জোহা হলের সিট বাণিজ্যের ঘটনায় সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত আল-আমিন পিয়াসকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্প্রতি শহিদ ড.শামসুজ্জোহা হলে ঘটে যাওয়া ঘটনায় সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী আল-আমিন পিয়াসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজে প্রশ্রয় দেয় না ছাত্রলীগ। আল-আমিন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের মিথ্যা অভিযোগ তুলে। পরবর্তীতে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তাদের তদন্তের ভিত্তিতে ছাত্রলীগ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি আল-আমিন পিয়াসের সিট বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। অডিওতে পিয়াসের বক্তব্যে সিট বাণিজ্যের প্রমাণ ও টাকা ভাগাভাগির কিছু বিষয় ওঠে এসেছে।
আল আমিনের বক্তব্য অনুযায়ী, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের একেকটি আসন বর্তমানে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে থাকেন তারা। সিট বিক্রির এই পুরো টাকা হলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহম্মেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে সেই টাকা কয়েকটি হাত ঘুরে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাখা ছাত্রলীগ ২ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।