সূর্যসেন হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ওমর, তরিকুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী হল মাস্টারদা' সূর্যসেন হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ শুরু হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ৯ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মাঠে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সূর্য সেন হল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া।
সূর্যসেন হল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক এবং পালি এণ্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ৪০০ মিটার দৌড় এবং ৮০০ দৌড়ে ১ম, ১১০ মিটার প্রতিবন্ধক দৌড়ে ১ম, বর্ষা নিক্ষেপে ২য় স্থান অর্জন করে। অন্যদিকে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম ১০০ মিটার দৌড়ে- ১ম ২০০ মিটার দৌড়ে- ২য়, গোলক নিক্ষেপে- ১ম চাকতি নিক্ষেপে- ১ম স্থান অর্জন করে।
দুজন সমপরিমাণ পয়েন্ট (১৮) অর্জন করায় তাদেরকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় পরবর্তীতে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ অনুষ্ঠানে পুরষ্কার বিতরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মাস্টার দা' সূর্যসেন হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মহান আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। এর আগেও ডাকসু এথলেটিক্স ২০২০ এ চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। চ্যাম্পিয়ন এর পুরস্কার হাতে পাওয়ার মুহুর্তটা সত্যিই খুব আনন্দের ছিলো। আমার পরিশ্রম সার্থক। সবাইকে ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থী ওমর ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, টানা দ্বিতীয় বারের মতো মাস্টারদা' সূর্যসেন হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটি অনেক বেশি গর্বের অনুভূতি আমার। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও পড়াশোনা আর সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি খেলার মাঠের সাথে সম্পর্কটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। যেটি আমাকে একজন সুস্থ-স্বাভাবিক, মানবিক, সহনশীল মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করছে। হল চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে আমার মা অনেক বেশি খুশি হয়েছেন। আমি মায়ের চোখে হিরো হওয়ার স্বপ্নটাই নিজের মধ্যে লালন করি।