১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৪

দুই মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন, খরচ দেবেন চবি উপাচার্য

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.  শিরীণ আখতার  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়া ড. হাছান মাহমুদ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ও মহিবুল হাসান চৌধুরীকে (শিক্ষামন্ত্রী) অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপনের খরচ ব্যক্তিগত খাত থেকে বহন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড.  শিরীণ আখতার। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কে এম নুর আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযাগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি।

আরো বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদশ’ বিনির্মাণে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নবগঠিত সরকারের মন্ত্রীসভায় চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষামন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেছেন। বীর চট্টলার এ দুই কৃতি সন্তানকে অভিনন্দন জানিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: ৪০ লাখ টাকায় রেজিস্ট্রার নিয়োগের অভিযোগ ইসলামি আরবির ভিসির বিরুদ্ধে

এ বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত ব্যয় কোন খাত থেকে নির্বাহ করা হবে, তা জানতে চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য হলা, এ সংক্রান্ত ব্যয়ের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়র কোনোরুপ আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বর্ণিত বিষয়ে কোন অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরাধ করা হয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারক সংস্থা ইউজিসি উপাচার্যের দেওয়া বিজ্ঞাপনের এ ব্যয় কোন খাত থেকে হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। চিঠিতে ইউজিসি বলেছে, এ বিজ্ঞাপন কয়টি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ ব্যয় কোন খাত থেকে নির্বাহ করা হবে, তার তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করেছে ইউজিসি।