প্রশাসনের আশ্বাসে চবি স্পোর্টস সায়েন্স শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে'র সেশনজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে মূল ফটকের তালা খুলে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১৭জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয়।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে একাডেমিক সেশন জট নিরসন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলনে নামেন ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়। যেগুলোতে লেখা ছিল– ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই‘ ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডার চাই’ ‘বয়স গেলে শেষ হয়ে কী করবো অনার্স করে’ ‘আমরা দেই ট্রপি আপনারা দেন সেশনজট’ 

এ বিষয়ে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যত আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের জট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি। তারা কি আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দিবে?

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ বলেন, আমাদের বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে আট বছর আগে কিন্তু এখন পর্যন্ত বিভাগ থেকে একটা ব্যাচও মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারেনি। এছাড়াও আমাদের কোন স্থায়ী ভবন নেই, বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। আমরা ভাসমানভাবে ক্লাস এবং পরীক্ষা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং ডিপার্টমেন্টে তালা ঝুলানো থাকবে। উপ-উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন আগামী বুধবার আমাদের সাথে বসে সমস্যা সমাধানে রোডম্যাপ তৈরি করবেন। তারপর আমাদের কাছে যদি মনে হয় পদক্ষেপগুলো জোরালো নয় তাহলে আবার আন্দোলনে নামবো।

এ বিষয়ে উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, আমরা আগামী বুধবারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো শুনবো। এর আগে অনুষদের পরিচালক এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে খণ্ডকালীন শিক্ষকের মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষা চলমান রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।


সর্বশেষ সংবাদ