সশরীরে ক্লাস শুরুর দাবিতে জাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের অবস্থান
সশরীরে ক্লাস শুরু করাসহ ৩ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২ ব্যাচ) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এর আগে, গত ৩০ শে নভেম্বর থেকে আবাসন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে তাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবন সংলগ্ন চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান অবস্থান প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে নাকচ করে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সশরীরে ক্লাস শুরু করা এবং অফলাইনে ক্লাস চলাকালে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কোন প্রকার পরীক্ষা না নেওয়া।
এসময় অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারাবী বলেন, আমাদের সব শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা একই রকম নয়। অনলাইনে ক্লাস করা যেমন অনেকের জন্য ব্যয়বহুল। তেমনি অনেক জটিলতারও শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। পড়াশোনায় নিয়মিত ব্যাঘাত ঘটছে। করোনা চলে গেছে অথচ, আমরা করোনার মতো অনলাইনে আছি। আমরা চাই অনতিবিলম্বে আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হোক।
ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মুনা বলেন, একটি ব্যাচকে অনলাইনে রেখে পরবর্তী ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন চলছে। অথচ, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমরা হলে থেকে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি না। এর চেয়ে দুঃখের ও লজ্জার কি হতে পারে? আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাবো।
এসময়, দাবি ৩টি বাস্তবায়নের বিষয়ে আশ্বস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান আন্দোলনকারীদের বলেন, আমরা নতুন হল খোলার পরই ৫২ ব্যাচকে হলে আসন বরাদ্দ দিতে পারবো। এজন্য আরো কিছুদিন সময় দরকার। আশা করছি, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ৫২ ব্যাচকে আসন বরাদ্দ দিতে পারবো এবং তখন থেকে তাদের সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।