পররাষ্ট্র-কৃষি-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হলেন চবির সাবেক ৩ শিক্ষার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রী হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক তিন শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন, ড. হাসান মাহমুদ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও মো.তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান। যার মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক শিক্ষার্থী।
হাসান মাহমুদ:
চবির সাবেক শিক্ষার্থী ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবংপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নবম জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৬ আসন এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম -০৭ (রাঙ্গুনিয়া- বোয়ালখালি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরবর্তীতে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
মো. তাজুল ইসলাম :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুমিল্লা -০৯ (লাকসাম - মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত মো. তাজুল ইসলামকে। তিনি এর আগেও বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাজুল ইসলাম পোমগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করে পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তী তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ:
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পেয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্মাতক সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ওপর গবেষণায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
এবারের নতুন এ মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৩০ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। যে কারণে ২৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এসেছে নতুন মুখ। এ ছাড়া পূর্বের মন্ত্রিসভার কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় রাখা হলেও পরিবর্তন করা হয়েছে মন্ত্রণালয়।