সমঝোতা চান চবি ভিসি
আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী তারা কখনো ১৯৭৩ সালের আইনকে অমান্য করতে পারি না। কেউ যদি বলেন আমরা এই আইন কোনো কোনো সময় মেনে চলছি না সেটা ভুল কথা। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এই আইনটি মেনে চলি। তাই আমি বলব ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে থাকলে হবে না।
আমি বিশ্বাস করি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়ে যায় উল্লেখ করে চবি উপাচার্য বলেন, আপনারা আসুন, বসুন, এবং দেখুন বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ এর যে আইন প্রণয়ন করেছিলেন আমরা তার কোন ব্যত্যয় ঘটাচ্ছি কিনা। দূরে থাকলে ভুল বোঝাবুঝি বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু দেশে প্রত্যাবর্তন করে অমানিশার ঘন অন্ধকার কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাস রেখেছিলেন। তেমনি করে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে তার দর্শন ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র ভূমিতে পা রাখার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ, তাঁর কথার মধ্যে সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আজ জাতির পিতার আত্মত্যাগকে ধারণ করে তাঁরই সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ও চবি ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য বেণু কুমার দে, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর চবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, চবি জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদ, চবি ক্লাবের (শহর) সম্পাদক ড. মো. মোরশেদুল আলম, চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সুমন এবং চবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোছাইন।