১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫০

সংসদ সদস্য হলেন ঢাবির এক বিভাগের ৫ অ্যালামনাই

বাম দিক থেকে কেরামত আলী, মাহফুজুর রহমান মিতা, এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম, হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন  © টিডিসি ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৫ জন সদস্য এমপি (সংসদ সদস্য) হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মার্কেটিং বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। 

মার্কেটিং বিভাগের যে ৫ অ্যালামনাই সংসদ সদস্য হয়েছেন তারা হলেন- রাজবাড়ী-১ আসনে কেরামত আলী, চট্রগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, কুমিল্লা-৮ আসনের এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, হবিগঞ্জ -৪ আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান তার ফেসবুক আইডি থেকে এ ৫ জন সংসদ সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান। এ অধ্যাপক মার্কেটিং বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট অনুযায়ী, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন।

গেজেট অনুযায়ী, নির্বাচনে ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। আর নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের তিন শরিক দল জয় পেয়েছে তিনটি আসনে। বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ বিষয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আগামীকাল শপথ নেবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।