যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আততায়ীর গুলিতে নিহত ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী, গ্রেফতার ১
গত ২৯ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী শেখ আবির হোসেন। দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি কফিশপে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সিগেরেট চুরি করতে গিয়ে দুই তরুণ আবিরকে গুলি করে।
আবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়াও তিনি লামার ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন।
মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পর গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। কিয়ান্ডার রবিনসন (১৯) নামের কৃষ্ণাঙ্গ ওই তরুণকে গ্রেপ্তারের পর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরেক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ।
বিউমন্ট পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা হেলি মরো সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিউমন্টের ক্রিস ফুড মার্টে শুক্রবার রাত ১০টা ৯ মিনিটে (স্থানীয় সময়) আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায় গুলিবিদ্ধ আবির মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। প্রাথমিক তদন্তে সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, শুধু সিগারেট চুরি করতে গিয়ে আবিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
হেলি মরো আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা দেখে সন্দেহভাজন দুজনকে খুঁজতে মাঠে নামে আমাদের টিম। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় কিয়ান্ডার রবিনসনকে। আরেক সন্দেহভাজন কালো রঙের জিনস ও হুডি পরা ছিলেন, তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।’
এদিকে টেক্সাসের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আবিরের পরিবারের জন্য ফেসবুকে ‘গো ফান্ড মি’ অ্যাকাউন্ট খুলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে সারা বিশ্বের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ ৫৫ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছেন।
জানা যায়, আবিরের স্ত্রী সানজিদা আলম মজুমদার তাঁদের একমাত্র শিশুকন্যা আরশিয়াকে (২) নিয়ে নিউইয়র্কে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন। আর আবির থাকতেন টেক্সাসে। আবির সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত শেখ আজিজুল হাকিমের ছেলে।