৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৭

স্ত্রীকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ, প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ চবি শিক্ষকের

চবির সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনাবিল ইহসান  © ফাইল ছবি

স্ত্রীকে মারধর ও গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনাবিল ইহসান। এ সংক্রান্ত সংবাদ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।

গত ২৩ ডিসেম্বর ‘ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া: স্ত্রীকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ খবরের প্রতিবাদলিপি শিক্ষক বলেছেন, ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ২০১৮ থেকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যতা ও বনিবনা না হাওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর মুসলিম পারিবারিক আইনে তালাক দিয়েছি।’

প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়েছে, তালাকের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ অক্টোবর নিশাত জাহানকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর থেকেই নিশাত জাহান আক্রোশের বশীভূত হয়ে তার ব্যক্তিগত সুনাম-সুখ্যাতি, সততা, নিষ্ঠা এবং আমার পেশাগত জীবনকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও কলঙ্কিত করার অভিপ্রায়ে নানাভাবে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অপপ্রচারমূলক অভিযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: আটক মদ্যপ ২ নারীকে ‘বন্ধু পরিচয়ে’ ছাড়িয়ে নেন জাবি শিক্ষক

এছাড়াও নিশাত জাহানের ‘মিথ্যা ও অপপ্রচারমূলক’ অভিযোগকে আমলে নিয়ে গত ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয়, জাতীয় ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং তাকে ও তার পরিবারকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবাদলিপিতে।

তবে যৌতুক গ্রহণ, নির্যাতন, ভুক্তভোগীর হাত ঝলসে দেওয়া, মামলাসহ—প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে যেসব গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, তার জবাব প্রতিবাদলিপিতে স্পষ্ট করা হয়নি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: চবি শিক্ষক অনাবিল ইহসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ভুক্তভোগী নিশাত জাহানের বক্তব্য রয়েছে। শিক্ষক অনাবিল ইহসানের বক্তব্যও নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, মামলার এজহার এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। এতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব কোনও বক্তব্য নেই।