রাষ্ট্রপতির চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত পদ ছাড়বো না: চবি উপাচার্য
‘আমাকে এবং উপ-উপাচার্যকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। যতক্ষণ আমাদের জায়গায় উনি অন্য কাউকে না দিবেন, ততক্ষণ কাজ করে যাবো।’ সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানালে এসব বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষক সমিতি কি উপাচার্য নিয়োগ দেয়? শিক্ষক সমিতি কি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বানিয়ে আনে? যদি উনারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির চিঠি নিয়ে আসেন, তাহলে সসম্মানে তাদের মালা পরিয়ে আমি সিট ছেড়ে দিবো। তবে উপ-উপাচার্য নিয়োগ তো প্রশ্নই উঠে না। কারণ উনার এখনো ২ বছর আছে। উনি তো উপাচার্যও হতে পারেন।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, আমার দায়িত্ব পালনে আমি কোথায় ৭৩-এর অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করেছি? এটা কি তাঁরা প্রমাণ দেখাতে পারবেন? শিক্ষক সমিতির কোন নেতারা আমাদের কাছে দাবি দাওয়া উত্থাপনের জন্য কখন অ্যাপয়েনমেন্ট নেন নাই। এটা হল শিষ্টাচার আমি যখন শিক্ষক সমিতির সভাপতি তখন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সবার দাবি আমি মহামান্যের কাছে তুলে ধরেছি। আমি শিক্ষকদের পারিতোষিক নিয়ে কাজ করেছি। আমি তো শিক্ষকদের জন্য সবই করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ মামুন, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রকিবা নবী, প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান নাসির উদ্দিন প্রমুখ।