১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫২

বিভাগের অনিয়ম, অসহযোগিতামূলক আচরণে ভর্তি বাতিল চান চবি শিক্ষার্থী

মোহাম্মদ নূরুদ্দীন শহীদ  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার ও অসহযোগিতামূলক আচরণের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর চবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের কো-অর্ডিনেটর বরাবর ই-মেইলে ভর্তি বাতিলের আবেদন করেন মোহাম্মদ নূরুদ্দীন শহীদ নামে ওই শিক্ষার্থী।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের মাস্টার্সের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী।

বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার, হীন এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না হওয়া, বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটা এবং সর্বোপরি ইংরেজি বিভাগে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের হওয়া, এমনকি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনকে বিরক্তিকর ভাবা ইত্যাদি কারণে আমি এ বিভাগের মাস্টার্স থেকে আমার ভর্তি বাতিল করতে মনস্থির করেছি। অতএব এ বিষয়গুলো বিবেচনাপূর্বক আমার ভর্তি বাতিলের আবেদন গ্রহণ করে নানাবিধ নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে সহায় হোন।

মোহাম্মদ নূরুদ্দীন শহীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার আবেদনপত্রে ভর্তি বাতিলের সবগুলো কারণ উল্লেখ করেছি। এ বিভাগে নানান সমস্যা রয়েছে। কেউ হয়তো এগুলো নিয়ে কথা বলে না বিভিন্ন কারণে। তবে আমি চাই এ সমস্যাগুলোর সমাধান হোক। এটা আমার পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী জানান, বিভাগের অফিস স্টাফরা এমন আচরণ করেন যেন তারাই সব। এছাড়া বিভাগে সেশন জটতো রয়েছেই। এই কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিভাগ ছেড়ে চলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি। দীর্ঘদিন ধরে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে কোনো ফলাফল পাইনি। এসব কারণেই আমি প্রতিবাদস্বরুপ ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছি।  

শিক্ষার্থীর এমন একটি আবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ডিপার্টমেন্টের ক্লাস, পরীক্ষা সবকিছু ঠিক মতোই চলছে। সে সম্ভবত পারিবারিক বা অন্যকোনো কারণে মানসিক সমস্যায় আছে। অন্যথায় এভাবে ফেইসবুকে লেখার কথা না।

তিনি আরও বলেন, তাকে নাকি অফিসে ঢুকতে দেয় না, আমি স্টাফদের জিজ্ঞেস করলাম, তারা বলছে স্যার কোনো কাজ না থাকলে উনি অফিসে ঢুকে কি করবেন। সে ডিপার্টমেন্টে আসুক, আমরা কথা বলবো। কি সমস্যা সেটাও দেখবো।